রাঙামাটির বাঁশ শিল্প আয়ের বড় উৎস হতে পারে

রাঙামাটির বাঁশ শিল্প আয়ের বড় উৎস হতে পারে

বাংলাদেশে অনেক প্রজাতির বাঁশ আছে। গ্রামীণ বাঁশ এবং পাহাড়ি বাঁশ। ৩৩ প্রজাতির মধ্যে ২৬ প্রজাতির গ্রামীণ এবং ৭ প্রজাতির পাহাড়ি বাঁশ। বাঁশের প্রজাতিগুলো হলো- বরাক, কাঁটা, বিষকাঁটা, মিরতিঙ্গা, বেথুয়া, কনক কাইচ, তেঁতুয়া, চৈই, মাকলা বা মিতিঙ্গা, ফারুয়া, করজবা, মিরতিঙ্গা, বাইজ্জ্যা, স্বর্ণ, ঘটি, হেজ, ব্রান্ডিসি, ভুদুম, পেঁচা, ওরা, মেমব্রা, লাঠি, কালি, টেন্ডু, কালা, লতা, মুলি, ডলু, থাই, রেঙ্গুন, তল্লা প্রজাতি, ওয়াপ্পি এবং চায়না প্রজাতি।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে সাত ধরনের বাঁশ বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে বরাক, করজবা, বাইজ্জা, তল্লা, মাকলা, ভুদুম অন্যতম। এসব প্রজাতির বাঁশের কাণ্ড পুরু ও কাষ্ঠল বলে ঘরের বেড়া ও খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া পাকা বাড়ি তৈরির সময় ছাদ ঢালাই দিতেও এসব বাঁশের প্রয়োজন হয়।
চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ প্রায় সারা দেশেই মুলি বাঁশের দেখা মেলে। চারা লাগানোর পর একটি বাঁশঝাড় পাঁচ বছরেই পূর্ণাঙ্গ ঝাড়ে পরিণত হয়। পাঁচ বছর পর একটি ঝাড় থেকে বছরে পাঁচটি বাঁশ কাটা যায়। এরপরের বছর থেকে আরও একটি করে বেশি বাঁশ পাওয়া যায় বাঁশঝাড়ে। গৃহের অবকাঠামো নির্মাণ, মঞ্চ নির্মাণ, মই, মাদুর, ঝুড়ি, ফাঁদ, হস্তশিল্পসহ নিত্যদিনের ব্যবহার্য বিবিধ জিনিসপত্র তৈরির কাজে ব্যবহূত হয়। কচি বাঁশের ডগা মুখরোচক সবজি হিসেবে খাওয়ার উপযোগী। কিছু পরিচিত পাহাড়ি বাঁশ হলো: মুলি বাঁশ, তল্লা বাঁশ, বরাক বাঁশ, ভুদুম বাঁশ, বাইজ্জা বাঁশ, ডলু বাঁশ, কাতি বাঁশ, মিতিঙ্গা বাঁশ, কালী বাঁশ, ছোটিয়া বাঁশ, ফারুয়া বাঁশ, ওরা বাঁশ, লতা বাঁশ, মিরতিঙ্গা বাঁশ. পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে বাজালি, ছোটিয়া, মুলি, টেংরা মুলি, ওরাহ, মিতিঙ্গা, ডলু, নলি, বাড়িওয়ালা, ছাতারবাটা ও কালিছড়ি জাতের বাঁশ উৎপাদন হয়ে থাকে।
রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের আর যেসব এলাকায় বাঁশ উৎপাদন, আহরণ ও বাজারজাত করার করা হয়ে থাকে তার মধ্যে রয়েছে— রাঙ্গামাটি সদর, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও বরকল, নাড়াইছড়ি, মাচালং, পশ্চিম লক্ষীছড়ি, পূর্ব লক্ষীছড়ি, বাঘাইহাট, শিজক পাবলাখালী গেইম সেঞ্চুয়ারি, রেংকার্য্য, ছোট মেরুং, বড় মেরুং, কবাখালী, তারাবুনিয়াা, ঘাগড়া, কাঁশখালী, ঘিলাছড়ি, মুবাছড়ি, কলমপতি, না ভাঙা, কাঁশখালী, উল্টাছড়ি, লংগদু, ইয়ারিংছড়ি, মাইনিমুখ, সাপছড়ি, মানিকছড়ি, হেমন্ত মোন, বসন্ত মোন, কাইন্দ্যা, ফুলগাজী, বাপেরছড়া, কুতুবদিয়া, ভার্য্যতলী, বারদপোলা, সাক্রাছড়ি, বহালতলী, ঘিলাছড়ি, ছোট মহাপুরমপুর, হাজাছড়ি, বুড়িঘাট, তৈ চাকমা, ক্যাঙ্গালছড়ি, লেমুছড়ি, চৌংড়াছড়ি, থলিপাড়া, নুনছড়ি, লক্ষীছড়ি, বানরকাটা, ছোট ধুরুং, জারুলছড়ি, দুল্যাতলী, ময়ূরখীল, দেবালছড়ি, গোইনছড়ি, রাঙাপানি, রাজবিলা, রাইখালী, রাজস্থলী, ধনুছড়ি, ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *